নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ ও জাতীয় গণফ্রণ্ট এই চারটি সংগঠনের উদ্যোগে অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়ে “মহান মে দিবস জাতীয় উদযাপন কমিটি” গঠন করা হয়। এই কমিটির পক্ষ থেকে একটি পোষ্টার সারা দেশে প্রচার করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে ১ মে সকাল ৯টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসকাবের সামনে একটি সমাবেশের আয়োজন করে। জনাব বদরুদ্দিন উমরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব টিপু বিশ্বাস, ফয়জুল হাকিম, হাসান ফখরী, সাইফুজ্জামান বুলবুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ সাভারে শ্রমিক হত্যাকান্ডের জন্য ভবন মালিক, গার্মেন্ট মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন। তারা ভবন ও গার্মেন্ট মালিকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিহত-নিখোঁজ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবী জানান। একই সাথে শ্রমিক শ্রেণীর মুক্তির লক্ষে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল বুর্জোয়া শাসক শ্রেণীকে উচ্ছেদ করে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার, সংবিধান ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী আন্দোলন বেগবান করার আহবান জানান। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসকাব থেকে পল্টন হয়ে আবার প্রেসকাবে এসে শেষ হয়।
মে দিবস উপলক্ষে নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি প্রচারপত্র প্রকাশ ও সারা দেশে প্রচার করে।
বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয়ভাবে বরাবরের মত একটি র্যালীর আয়োজন করে। সকাল ৮-৩০ মিনিটে ওসমানি উদ্যান থেকে র্যালী শুরু করে গুলিস্তান হয়ে প্রেসকাবে এসে জাতীয় উদযাপন কমিটির সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়। মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিন-স্ট্যালিন-মাও আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর এই পাঁচ মহান নেতার ছবি, ব্যানার, ফ্যাস্টুন, লাল পতাকায় সজ্জিত ছিল এই র্যালী। জাতীয় উদযাপন কমিটির কর্মসূচী শেষে বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের ব্যানারে পল্টন থেকে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত মিছিল করা হয়। পরে খিলগাঁ রেলগেট থেকে মিছিল করে গোড়ান ও সিপাহীবাগ বাজার প্রদণি করে এবং সিপাহীবাগ বাজারে একটি পথসভা করা হয়। শ্রমিক আন্দোলন ও নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার নেতৃবৃন্দ এই পথ সভায় বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম শাখাঃ নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল যৌথভাবে মে দিবস উদযাপন করে। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের চট্টগ্রাম শাখার আহবায়ক ভোলন ভৌমিকের সভাপতিত্বে এবং নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার চট্টগ্রাম শাখার আহবায়ক রাকিব উদ্দিনের পরিচালনায় সংগঠনদ্বয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। সভার শুরুতে সাভারে ভবন ধ্বসে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে একটি মিছিল আমিন জুটমিল এলাকা প্রদক্ষিণ করে টেক্সটাইল মোড়ে এসে শেষ হয়। এ উপলক্ষে বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে একটি পোষ্টার প্রকাশ ও প্রচার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ শাখাঃ নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট যৌথভাবে উদযাপন কমিটি করে মহান মে দিবস পালন করে। ১ মে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পথসভা ও র্যালী করা হয়। র্যালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ প্রদণি করে এবং নিউমার্কেট প্রেসকাব ও ইমিয়াড ব্রিজ এই তিনটি স্পটে পথসভা করে। পথসভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের বরকতুল্লাহ, জাতীয় গণফ্রন্টের ডাঃ হালিম এবং নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সিরাজগঞ্জ শাখার আহবায়ক আবুবক্কর সিদ্দিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
রাজশাহীঃ নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার উদ্যোগে কাটাখালী জুটমিলের গেটে মে দিবস উপলে বিকাল ৪টায় পথসভা করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার কেন্দ্রীয় সদস্য শামীম পারভেজ ও কৃষক মুক্তি সংগ্রামের কেন্দ্রীয় সদস্য শিবলী সরকার। এ ছাড়া মে দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার কেন্দ্রীয় লিফলেট পাঠ করেন শ্যামলী সরকার।
পাবনাঃ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট ও নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার যৌথ উদ্যোগে মহান মে দিবস উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি মে দিবসে শহরে একটি র্যালী করে।
গাইবান্ধাঃ মে দিবস উপলে নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার গাইবান্ধা শাখা কেন্দ্রীয় লিফলেট ও জাতীয় উদযাপন কমিটির পোষ্টার বেলকা, দারিয়াপুর, রুপার বাজারসহ আরও কয়েকটি বাজারে প্রচার করে।
রাজবাড়ী শাখাঃ নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা ও জাতীয় গণফ্রন্ট যৌথভাবে মে দিবসে রাজবাড়ী শহরে একটি র্যালী করে। শহরের রেলওয়ে ষ্টেশন গেইটে জমায়েত হয়ে বড় বাজার ধরে খলিফা পট্টি ও প্রধান রাস্তা হয়ে পান্না চত্তর ঘুরে ষ্টেশন রোড দিয়ে আবার রেলওয়ে ষ্টেশন গেটে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণফ্রন্টের রাজবাড়ী শাখার আহবায়ক ওমর মাষ্টার এবং নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার পক্ষে বক্তব্য রাখেন কৃষক মুক্তি সংগ্রামের জেলা কমিটির সদস্য শেখ শামছুল হক।
মে দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা শাখার “কৃষক মুক্তি সংগ্রাম”-এর পক্ষ থেকে বর্তমান জাতীয় রাজনৈতিক এবং স্থানীয় সমস্যা ভিত্তিক হাতে লেখা পোষ্টার এবং গণমোর্চার কেন্দ্রীয় লিফলেট প্রচার করা হয়।