নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা
হাওড় আঞ্চলিক কমিটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
“রানা প্লাজায় হত্যাকান্ডে নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ। শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত ও দেশপ্রেমিক জনগণের সক্রিয় প্রতিরোধের মাধ্যমে এই ধরনের হত্যাকান্ডের পূনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত।
গত ২৪/০৪/২০১৩ খ্রি. সকাল ৯:০০ ঘটিকায় ঢাকার অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজায় ঘটে গেল নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের খবর অনুযায়ী এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ জনেরও উপরে। গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। ভবনের ভিতর থেকে এখনো বেড়িয়ে আসছে গলিত, অর্ধগলিত লাশের পর লাশ। শুরু থেকেই সেনা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের দায়সাড়া উদ্ধার তৎপরতা লাশের মিছিলকে দীর্ঘতর করেছে বলে স্থানীয় জনগণ অভিযোগ তুলেছেন। শ্রমিকের রক্তচোষা সংগঠন বিজিএমইএ-এর হিসেবে মতে ঘটনার দিন ৩১২২ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। অথচ উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের ভাষ্যমতে ভবনের ৬ তলা গামেন্ট ফ্যাক্টরীর প্রতি ফ্লোরে গড়ে ৯০০ থেকে ১০০০ শ্রমিক কর্মরত ছিলেন।ইতিমধ্যে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা গোপন করার হীন চক্রান্তে লীপ্ত রয়েছে সরকার ও মালিক শ্রেণীর সংগঠন বিজিএমইএ। রানা ক্ষমতাশীন দলের নেতা বলেই তাকে রক্ষার জন্যে এত আয়োজন চলছে। এটা আজ পরিস্কার যে, প্রতিক্রিয়াশীল বুর্জোয়া রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এ ধরনের অবৈধ বহুতল ভবন গড়ে তোলে রক্তচোষা রানা গংদেরকে সীমাহীন সম্পদের পাহাড় গড়তে সহায়তা করছে। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা হাওড় আঞ্চলিক কমিটি এ ধরনের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। নিহতদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের জোর দাবী জানাচ্ছে। এবং লাশের রাজনীতি বন্ধ করে অবিলম্বে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। রাষ্ট্র ও মালিকশ্রেণীর এই ধরনের অব্যাহত শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে
নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা হাওড় আঞ্চলিক কমিটি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছে। পাশাপাশি এ ধরনের হত্যাকান্ড বন্ধে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লবের লক্ষে শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত সহ ব্যাপক নিপীড়িত জাতি ও জনগণের বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।
বার্তা প্রেরকঃ
(মোস্তাক আহমদ মনি)
সংগঠক, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা হাওড় আঞ্চলিক কমিটি।