নুরুল হুদা মির্জা, যাকে অনেকেই “ছুটি ভাই” বলে ডাকতেন গত বছর ১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেছেন। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভোগার পর আনুমানিক ৮১ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
চিরজীবন সমাজতন্ত্র-কমিউনিজমে আস্থাশীল ছুটিভাই মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা অনুসারী ছিলেন। মাও-এর গণচীনের সপক্ষে বিভিন্ন লেখালেখি করেছেন। তার বাংলায় অনুদিত প্রবন্ধ সংকলন “প্যারী কমিউন”, “গণচীনের গণকমিউন ও তাচাই-এর জনগণের কাহিনী”, বা তার লেখা “মার্কসবাদের অ আ ক খ” এ বইগুলো এদেশে মাওবাদী তথা বিপ্লবীদের এখনও প্রয়োজন পূরণ করে। ’৬০-এর দশকের মহাবিতর্কের সময়ে ও পরে মাও চিন্তাধারার পক্ষে তিনি ছিলেন একজন অনন্য বুদ্ধিজীবী। অবশ্য মাও-মৃত্যুর পর নতুন মহাবিতর্কে তিনি কিছু সময় ধরে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এবং পরবর্তীকালে মাওবাদী আন্দোলনে বিভিন্ন ভাঙন-বিভক্তি ও আদর্শচ্যুতির প্রেক্ষাপটে তিনি আন্দোলন থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন। এ দুর্বলতা সত্ত্বেও এদেশে মাওবাদ প্রসারে তার অবদানকে ছোট করে দেখলে ভুল হবে।
বার্ধক্য, অসুস্থতা ও রাজনৈতিক সক্রিয় জীবনের সংস্পর্শের অভাবে এক পর্যায়ে তিনি কার্যতঃ নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতে থাকেন। তিনি আদর্শের জন্যই অকৃতদার ছিলেন। এমনি অবস্থায় তিনি গত বছর ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। ছুটি ভাইয়ের পৈত্রিক বাড়ী ছিল বৃহত্তর দিনাজপুর জেলায়।
আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং শোকাহত স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
-
সাম্প্রতিক লেখা
সংগ্রহ
বিষয়
-
Join 6 other subscribers
Blogroll
Top Clicks
- None