ফিলিপাইনের সরকারি সেনাবাহিনীর ব্যাপক দমন অভিযানের কারণে কমরেড কা রজার-এর মৃত্যু সংবাদ মৃত্যুর প্রায় ৪ মাস পর ৯ অক্টোবর/১১ পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার করা হয়। একই সাথে পার্টি ১৫ অক্টোবর সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানায়।
পার্টির এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত শত দ্বীপের হাজার হাজার পার্টি সদস্য, নিউ পিপলস আর্মি (এনপিএ)’র হাজার হাজার লাল যোদ্ধা এবং ব্যাপক নিপীড়িত জনগণ কা. রজার স্মরণে শোকসভা, র্যা লী, বিক্ষোভ, শোকবাণী প্রেরণ, প্রচার-প্রকাশনাসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে। ১৫ অক্টোবর ঠিক দুপুর ১২টায় পার্টির নেতৃত্বাধীন বাহিনী এনপিএ কা.রজার-এর স্মৃতির প্রতি সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন করে। পার্টির নির্দেশে এনপিএ’র সকল ইউনিট এবং বিপ্লবী গণসংগঠনসমূহ কা.রজার-এর অবদানের প্রতি সপ্রশংস শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
ইন্টারনেটে এই কর্মসূচি পালনের বহু বহু বিবরণ ও ছবি রয়েছে। একটি ছোট শহরে মটর সাইকেল, ট্যাক্সিক্যাব, প্রাইভেট কারের জটের মধ্যে সন্ধ্যার পর লাইট মিছিল দেখা যায়। লাল গেঞ্জি পরিহিত কাস্তে হাতুড়ীর বড় ব্যানার ও গণসংগঠনের অসংখ্য ব্যানারসহ কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা নারী-পুরুষের শ্লোগানে মুখরিত। কেউ কেউ মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলছে।
বাইটাঙ্গা নামক স্থানে এনপিএ’র সশস্ত্র যোদ্ধাদেরকে আধুনিক অস্ত্র উঁচিয়ে কা. রজারকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়। এনপিএ’র ইডারডো ভাগলি কমান্ডের মুখপাত্র ক. রড মবিন বক্তব্য রাখেন এবং শেষে সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক সঙ্গিত পরিবেশন করা হয়।
অন্য একটি ভিডিও ছবিতে একটি বড় শহরে শত শত লেখকের আন্ডারগ্রাউন্ড মিছিল দেখা যায়। সাদা গেঞ্জি গায়ে সিপিপি লেখা লাল হ্যান্ড কার্ডে শ্লোগান দিয়ে চলেছে। আর একজন নারী কমরেড হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দিচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন পার্টি শাখার পক্ষ থেকে কা.রজারের স্মরণে বিবৃতি-শোকবাণী প্রদান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রাতৃপ্রতীম মাওবাদী পার্টি ও সংগঠনগুলো বাণী দিয়েছে।
ফিলিপাইনের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব প্রয়াত এই পার্টি কমরেডের স্মরণে এই সকল তৎপরতা এ সত্যই তুলে ধরেছে যে, শ্রমিক-কৃষক-নিপীড়িত জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে আমৃত্যু লড়ে যে বীর তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি অমর শহীদের মর্যাদাসম্পন্ন।
-
সাম্প্রতিক লেখা
সংগ্রহ
বিষয়
-
Join 6 other subscribers
Blogroll
Top Clicks
- None