গত ৬ নভেম্বর,’১০ পাবনা জেলার চাটমোহর থানার লাউতিয়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে হামিদুজ্জামান বাঘাকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে। ৬০ বছরের অধিক বয়সী এই প্রবীণ বিপ্লবী নেতা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্যারালাইজড অবস্থায় বাড়ীতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যু পথযাত্রী এই বিপ্লবীকে সরকার অমানবিকভাবে পাবনা, নাটোর, রাজশাহী কারাগারে দোড়াদৌড়ি করিয়ে এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার এই প্যারালাইজড রোগীকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দিচ্ছে না এবং তার চিকিৎসা সেবাও দিচ্ছে না। রাজশাহী জেল থেকে চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পিজি হাসপাতালে ভর্তি না করে সরকার তাকে ঢাকা জেলে আটক রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই বিপ্লবী নেতা সারা জীবন জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কিছুই করেননি। তরুণ বয়সে দেশ ও জনগণের মুক্তির জন্য তিনি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ হবার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, জনগণের ভাগ্যের কোনই পরিবর্তন হয়নি। অতপর তিনি জাসদে যোগ দেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্কের প্রক্রিয়ায় তিনি মাওবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী একজন কৃষিবিদ হওয়া সত্ত্বেও তিনি মাওবাদী আন্দোলনে যোগ দিয়ে বিগত প্রায় ৩৫বছর ধরে শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তসহ নিপীড়িত জনগণের মুক্তির লড়াইয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
আমরা আজীবন লড়াকু এই বিপ্লবী নেতার জীবন রক্ষা ও তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য সকল বিপ্লবী, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগঠন, শক্তি ও সর্বস্তরের জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।